Smart Stock

Smart Stock

Share Market, Analysis, Learning, Tools, News, All in one place.

Related Post

Monday, May 2, 2022

BIAS - COGNITIVE BIAS

12:17 AM
BIAS - COGNITIVE BIAS

Today we will discuss most important part of Finance, which is related to "Neurofinance", is an emerging field of research which aims at improving the micro foundation of financial decisions, through the exploitation of an interdisciplinary approach that merges economics, neuroscience and psychology. Bias ➡ Cognitive Bias.

 

COGNITIVE BIAS

 

·         "Home" Bias: The tendency to over-invest in "local" companies.

 


·         "Recency" Bias: The tendency to overweight recent information. 


·         "Anchoring" Bias: When we are asked to estimate something, we tend to be influenced by other (unrelated) numbers we recently encountered.

 

·         "Confirmation" Bias: We tend to look for information that confirms our beliefs and ignore information that contradicts them.

 


·         "Overconfidence" Bias: (here) We tend to be overly sure about our forecasts and/or we overestimate them. 

 


·         "Availability": From a very large set of information, we only and arbitrarily select a subset to make decisions.

 


·         "Status quo": We regret more selling something too early than passing on a successful investment opportunity.

 


·         "Disposition": We tend to sell winning positions too early and hold onto losing position for too long.

 


·         "Hindsight": We tend to fail to recognize that even if an event has turned out as we had predicted, there must have been at least a part of chance involved which could have realistically changed the outcome.

 


·         "Bias blind spot": We might see other people's biases but not our own.

Conclusion:  Most of the investors are bias by somehow as because market is drive by your psychology. And it's the most important part of investment to avoid these kind of bias and safe your investment.
 

 

Monday, September 17, 2018

Investment Stragey : Part-07

3:34 PM 0
Investment Stragey : Part-07

আন্দ্রে কস্তোলানির ডিমতত্ত্বঃ


১৯০৬ সালে হাঙ্গেরিতে জন্ম নেয়া আন্দ্রে কস্তোলানি ইউরোপীয় আর্থিক বাজারের সবচেয়ে বড় লিজেন্ডদের একজন। দর্শন ও ইতিহাসের এ ছাত্র বাজারের সেন্টিমেন্ট রিডার ছাড়া কিছুই ছিলেন না। সগর্বে নিজেকে স্পেকুলেটর বলে দাবি করতেন তিনি। ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের খুঁটিনাটি নিয়ে কোনোদিন ভেবেছেন বলেও জানা যায়নি। বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের ভিত্তি বিবেচনা করলে ওয়ারেন বাফেটদের সঙ্গে তার ছিল যোজন যোজন দূরত্ব। তবে কিছু জায়গায় ছিল বড় মিল। এর মধ্যে ১ নম্বর হলো লগ্নির টাইমিং, ধরে রাখার মেয়াদ আর নিজ কৌশলে দৃঢ় থাকা।

কার্যত দুপক্ষের একই সূত্র, কম দামের জন্য এমন সময়ে কিনতে হবে, যখন শেয়ারবাজারের নাম শুনলেই সবাই আঁতকে ওঠে। ছোট ছোট ঝড়ঝাপটায় বিচলিত না হয়ে ধৈর্য নিয়ে তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। একসময় বোকারা যখন দ্রুত টাকা বানানোর জন্য শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তাদের কাছে বিক্রি করে নিজের মুনাফাটুকু বুঝে নিতে হবে। এ দর্শন আর কৌশলকে কস্তোলানি নিজের ‘ডিমতত্ত্ব’র মাধ্যমে সবার সামনে তুলে এনেছিলেন।

কার্যত দুপক্ষের একই সূত্র, কম দামের জন্য এমন সময়ে কিনতে হবে, যখন শেয়ারবাজারের নাম শুনলেই সবাই আঁতকে ওঠে। ছোট ছোট ঝড়ঝাপটায় বিচলিত না হয়ে ধৈর্য নিয়ে তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। একসময় বোকারা যখন দ্রুত টাকা বানানোর জন্য শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তাদের কাছে বিক্রি করে নিজের মুনাফাটুকু বুঝে নিতে হবে। এ দর্শন আর কৌশলকে কস্তোলানি নিজের ‘ডিমতত্ত্ব’র মাধ্যমে সবার সামনে তুলে এনেছিলেন।


জীবন ও কাজ

হাঙ্গেরির একটি বনেদি পরিবারে জন্ম নেয়া আন্দ্রে কস্তোলানি বুদাপেস্টে দর্শন আর শিল্পকলার ইতিহাস পড়ছিলেন। তার বাবার একজন বন্ধু প্যারিসের ইনভেস্টমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন, যার ইচ্ছায় পিতা তাকে সেখানে ব্যবহারিক জীবনে ঠেলে দেন। প্যারিসে কিশোর বয়সেই প্রথম ব্রোকারেজ সেবা, বিনিয়োগ আর স্পেকুলেশনের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। দ্রুত সবকিছু শিখে নিয়ে স্পেকুলেটর আর আরবিট্রেজার হিসেবে ভালোই করছিলেন তিনি। গড়পড়তা বিনিয়োগকারীদের মতো ঝুঁকি বিশ্লেষণ নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই ছিল না তার। খেসারতও দিয়েছেন এর। বড় বড় বাজি ধরে প্যারিসে কয়েকবারই দেউলিয়া হওয়ার দশা হয়েছিল তার। তবে কাছের মানুষজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়ান দ্রুত। বড় ঝুঁকি, বড় প্রাপ্তির সহজ সূত্রে তার ওপর আস্থা রাখছিলেন অনেক বন্ধু। কারণ বাজারের গতিবিধি পর্যালোচনায় তিনি দিব্যদৃষ্টির মতো কিছু একটার প্রমাণ রাখতে শুরু করেন মাঝে মাঝেই।

১৯২৯ সালের শেষ দিকে যখন শেয়ারবাজার ধসে পড়তে শুরু করে, তখন তিনিও টের পাচ্ছিলেন শেয়ারবাজার অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক সংশোধনে যাচ্ছে না, যেমনটি ওয়াল স্ট্রিটে সিনিয়র কেনেডিরা বুঝতে পারছিলেন। প্যারিসে যুবক কস্তোলানির আগ্রাসী শর্টসেলিংয়ের গল্প শুনে শুরুর দিকে অনেক অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীই হাসছিলেন। তবে নিজের পরিচয় তুলে ধরলেন কস্তোলানি। ১৯৪০ সালে যখন জার্মানরা ফ্রান্স দখল করে বসল, কস্তোলানি নিজের টাকা-পয়সা নিয়ে নিউইয়র্কে পালিয়ে যান। বাল্লে অ্যান্ড সিএ ফিন্যান্সিং নামের একটি বিনিয়োগ কোম্পানির মূল শেয়ারহোল্ডার ও নির্বাহী প্রধান হিসেবে এক দশক সেখানে ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি ইউরোপের ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগের সঙ্গী হন। ১৯৫০ সালে প্যারিসে ফিরে গিয়ে জার্মান পুনর্গঠন প্রচেষ্টার ওপর বাজি ধরেন।
 


নিজের বই ও আর্টিকেলগুলোয় কস্তোলানি বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রায় জার্মান সরকারের বন্ডগুলো মাত্র ২৫ শতাংশ দামে পাওয়া যাচ্ছিল। খুব কম বিনিয়োগকারীই সেখানে সাহস দেখাতেন। জার্মান সরকারের প্রধান তাদের অর্থনীতিকে ট্র্যাকে তোলার মিশনে সফল হলেই এগুলো যথামূল্যে চলে আসবে। এমন অবস্থায় আমি বাজিগুলো ধরেছিলাম এবং বড় মুনাফা পেয়েছিলাম।

আন্দ্রে কস্তোলানি ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র আর জার্মানির বন্ড, শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের বাজারে বিনিয়োগ করে নিজের সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়েছেন। সাত দশকের বিনিয়োগ অভিজ্ঞতা আর দর্শন শেয়ার করতে তিনি এক ডজনের বেশি বই লিখেছেন, যেগুলোর লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। তবে দুঃসংবাদ হলো, একটি বইও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ হয়নি। পূর্ব এশীয় বিভিন্ন প্রকাশক স্থানীয় ভাষায় সেগুলোর অনুবাদ প্রকাশ করে ভালো সাড়া পেয়েছেন। অবশ্য বিভিন্ন ম্যাগাজিনে তার অনেক বক্তব্য সময়ে সময়ে ভালো আলোড়ন তুলেছে, যেগুলো ইংরেজির পাঠকদের সামনে কস্তোলানিকে তুলে ধরেছে। অবসর জীবনে জার্মান ‘ক্যাপিটাল’ ম্যাগাজিনে কস্তোলানির চার শতাধিক লেখা তাকে ইউরোপের বিনিয়োগকারীদের কাছে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

বিনিয়োগকারীর সামষ্টিক সেন্টিমেন্ট ও বাজারের স্বরূপ সম্পর্কে নিজের দেয়া ডিমতত্ত্ব খুব মেনে চলতেন ভদ্রলোক। অর্থনীতি ও আর্থিক বাজারের চক্রাকার উত্থান-পতনের তত্ত্ব যখন ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত, শেয়ারবাজারে উত্থান-পতনের কিছু কমন প্যাটার্ন যখন সবারই কমবেশি দেখা হয়ে গেছে, তখন তার ডিমতত্ত্বকে হয়তো বিশেষ কিছু মনে হবে না। তবে ১৯২৯ সালের বিপর্যয়ে শর্টসেল থেকে ভালো মুনাফা করা কস্তোলানির পুরো ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে এটি বড় কিছুই। তার ভাষায়, শেয়ারবাজারে সাফল্য একটি কলা, বিজ্ঞান নয়। এক জীবনে শত জীবনের অর্জন এনে দেয়ার জন্য শেয়ারবাজারের সামষ্টিক সেন্টিমেন্ট পঠনের এ কলার বিকল্প নেই বলে বিশ্বাস করতেন ১৯৯৯ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা কস্তোলানি।



ডিমতত্ত্ব
যৌক্তিক পর্যবেক্ষণের আলোকেই ডিমতত্ত্ব শেয়ারবাজারের হ্রাস-বৃদ্ধিকে একটি চক্রাকার ঘটনাপ্রবাহ হিসেবে স্বীকার করে নেয়। অন্যদের মতো কস্তোলানিও বিশ্বাস করতেন, শেয়ারবাজারে মূলত তিনটি পর্যায় থাকে, প্রথমটিতে কিনতে হয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে ধৈর্য নিয়ে ধরে রাখতে হয় এবং তৃতীয় ধাপে বিক্রি করে দিতে হয়। আদর্শ অবস্থায় চক্রের ক্লকওয়াইজ মুভমেন্ট একটি চমত্কার ডিম উত্পন্ন করে। পর্যায় তিনটি আনুভূমিকভাবে ডিমটিকে তিন অংশ ভাগ করে— ওয়ান, টু, থ্রি।
অন্যদিকে উলম্বভাবে ডিমটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, এ ও বি। চিত্রে প্রদর্শিত ‘এ’ অংশ বুল মার্কেটকে এবং ‘বি’ অংশটি বিয়ার মার্কেট তথা মন্দা বাজারকে তুলে ধরে।
কস্তোলানি তার তত্ত্বের ডিমটিকে মোট ছয় ভাগে ভাগ করেন। ক্লকওয়াইজ হিসাব করলে প্রথমে আসে এ ওয়ান, তারপর এ টু এবং এ থ্রি। বাজার যখন ‘এ’ অংশের থ্রিতে প্রবেশ করে, তখন সেখানে নতুন ক্রেতার সমাগম বাড়ে। দ্রুত মুনাফার জন্য তারা প্রতিযোগিতা করে অযৌক্তিক দামে শেয়ার বা সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ কিনে সেখানে ঝুঁকি বাড়ায় এবং বুদ্ধিমানরা তাদের কাছে সেগুলো বেচে মুনাফা বুঝে নেন।
ডিমতত্ত্বে কস্তোলানি বাজারের পরিস্থিতি অনুধাবনের জন্য প্রাইস ট্রেন্ডের বাইরে অন্য যে দুটি উপাত্তকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন, তা হলো ভলিউম আর লেনদেনকারীর সংখ্যা। এ তিন জিনিসের সমন্বয়েই গণসম্পৃক্ততার স্পেকুলেটিভ বাজারগুলোর প্রকৃত অবস্থা অনুধাবনের চেষ্টা করেছেন তিনি।
ওয়ান: এই ধাপে বাজারে শেয়ারের দর নিম্নমুখী কিংবা প্রায় স্থিতিশীল থাকে। ভলিউম কম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, এ সময় বাজারে বিনিয়োগকারী বা ট্রেডারের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে।
টু: দর ঊর্ধ্বমুখী, ভলিউম আর বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুব বেশি না। তবে পর্যায়টি যত পরিণত হয়, বিনিয়োগকারীর সংখ্যা স্পষ্টতই বাড়তে থাকে।
থ্রি: দরে একটি বাবল সৃষ্টি হয়েছে বলে সতর্ক করেন মৌলভিত্তি বিশ্লেষকরা। তার পরও বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এ দরকে বহুদূর টেনে নিয়ে যায়। ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণে ভলিউম ক্রমেই বাড়তে থাকে। দীর্ঘমেয়াদি চক্রে এ ধাপে প্রায় প্রতিবারই নতুন নতুন রেকর্ড হয়।
বি ওয়ান: ওয়ান বা বি থ্রি ধাপে করা লগ্নি তুলে নিয়ে ক্রমেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা। বাজারে আত্মবিশ্বাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমতে শুরু করায় দামও কমতে শুরু করে। লেনদেন ও বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও কমতে শুরু করে। এ ধাপে বাজার নিয়ে নিরাশ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি থাকে না। বহু মানুষ আশা করেন, সাময়িক সংশোধন শেষে সবকিছু আগের ডিরেকশনেই এগোবে। তবে তাদের কারো কারো মধ্যে সতর্কতাও বাড়তে থাকে।
বি টু: পর্যায়টিকে বি ওয়ানের সম্প্রসারিত ধাপ বলা যেতে পারে। দর, ভলিউম ও বিনিয়োগকারীর সংখ্যা আরো কমতে থাকে। মাঝে মাঝে দর হঠাৎই বেশি কমে যায়। ধাপে ধাপে দর নামতে থাকে আর বিনিয়োগকারীর ভীতিও বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে এসে আরো বেশি মানুষের মধ্যে ভীতি বেড়ে গেলে সময়ে সময়ে দরপতনের দিনেও ভলিউম বাড়ে।
বি থ্রি: ধাপে এসে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই বিশ্বাস করতে শুরু করেন, দরপতন আরো ত্বরান্বিত হবে। শেয়ার বেচে দেয়াই ভালো। নিম্নমুখী বাজারে ভলিউম অনেক বেড়ে যায় আর বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ক্রমেই কমতে থাকে।
এমনই কোনো পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষায় থাকা কন্ট্রারিয়ানরা কম দামে শেয়ার কিনে বাজি ধরেন। তারা সংখ্যায় বাড়তে থাকলে একসময় ট্রেন্ড ট্রেডারদের কেউ কেউও এসে ক্রেতার সারিতে যোগ দেন। বাজার এ ওয়ান ধাপে ফিরে যায়।
শেয়ারবাজারে উত্থান-পতনের অন্যান্য চক্রাকার বৃত্তান্তের সঙ্গে ডিমতত্ত্বের পর্যবেক্ষণে বিশেষ পার্থক্য নেই। কিন্তু আন্দ্রে কস্তোলানি প্রাইস ট্রেন্ড, ভলিউম আর নাম্বার অব পার্টিসিপেন্টসের সমন্বয়ে আগ্রহীদের জন্য আরো সুনির্দিষ্ট একটি পথ বাতলে দিয়েছেন।
মজার ব্যাপার হলো, বুল মার্কেটে এ ডিমটির বাম পাশটা উঁচু হয়, অর্থাৎ ‘এ’ অংশটি দীর্ঘায়িত হয়। আর মন্দাবাজারে ডান পাশের উচ্চতা বাম পাশের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ নিম্নমুখিতার মেয়াদ তুলনামূলক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
পরিস্থিতিভেদে ডিমের নিচের অংশ উপরের অংশের তুলনায় বেশি চওড়া হতে পারে আবার ঠিক উল্টোটাও হতে পারে। তবে কস্তোলানির ডিমে শেয়ারবাজারের সব স্টাইলের উত্থান-পতনের চক্রকেই উপস্থাপন করা যায়।
 
ডিমতত্ত্ব চক্রের মেয়াদ
ডিমতত্ত্বে উল্লেখ করা চক্র শেয়ারবাজারের সব মেয়াদি চিত্রেই পাওয়া যাবে। যারা মিনিট চার্ট দেখে ডে ট্রেডিং করেন, তারাও এটি পর্যবেক্ষণ করবেন, আবার ৫ থেকে ২৫ বছর মেয়াদি কোনো চক্রেও এ বাস্তবতা দৃশ্যমান।

তবে মজার ব্যাপার হলো, কস্তোলানির মতো যারা অবসর জীবনে নিজের ইনভেস্টমেন্ট ক্যারিয়ারের কথা ভাবলে তৃপ্তির হাসি হাসতে পারেন, তাদের প্রায় সবাই লম্বা সময়ের চক্রগুলোর সঙ্গে পথ চলেছেন। কারণ চক্রটি যত স্বল্প সময়ের হয়, পরিস্থিতি পঠনে ভুল হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি থাকে। এখানেই ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টে সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তার আসল মিল। যদিও তিনি নিছক চাহিদা আর জোগানের পূর্বানুমান করতেন, যেখানে বাফেটরা থাকেন ইনট্রিনজিক ভ্যালুর অনুসন্ধানে।


সূত্রঃ  
লেখকঃ সিহাব হাসান,

প্রকাশ : বণিক বার্তা , এপ্রিল ০১, ২০১৮

Investment Strategy : Part-06

3:23 PM 0
Investment Strategy : Part-06

The Magic of Value Investment

ম্যাজিক ফর্মুলা: জোয়েল গ্রিনব্লাট


যেকোনো বিনিয়োগেই সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে থাকেন তারা, যারা সস্তায় কিনে রেখেছিলেন। সেকেন্ডারি বাজারের অবস্থা বোঝার জন্য কেউই যখন টিভি ছেড়ে উঠছেন না, তখন তাদের কেউ হয়তো অসময়ে ঘুুমাচ্ছেন, কেউ হয়তো প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউবা হয়তো স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছেন। কারণ এ সপ্তাহে সূচক ৫০ শতাংশের বেশি কমে গেলেও তারা মুনাফায় থাকবেন। ভ্যালু ইনভেস্টিংয়ের সবচেয়ে বড় মজাটা সম্ভবত এখানেই।

উত্থান-পতনের চক্রাকার খেলায় বাজার আমাদের সবাইকে বহুবার সস্তায় শেয়ার কেনার সুযোগ দেয়। এখন প্রশ্ন হলো, সস্তায় কোন শেয়ার কিনব আর কোন শেয়ার এড়িয়ে চলব। ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের গুরুরা অনেক আগেই এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। মূল উত্তরটি চিরকাল একই থাকবে— যে কোম্পানির ব্যবসা ভালো এবং ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল, সস্তায় পেলে এর শেয়ার কিনতে দ্বিধা করা যাবে না। সময়ের পরিক্রমায়, ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতায় সেসব কোম্পানি শনাক্তকরণের কৌশলে হয়তো কিছু পরিবর্তন আসে। নিজের পোর্টফোলিওতে সফল প্রয়োগের পর বই লিখে এসব কৌশল সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন সময়ের চ্যাম্পিয়নরা। হেজ ফান্ড অপারেটর গথাম ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা জোয়েল গ্রিনব্লাট তাদেরই একজন। ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ওয়াল স্ট্রিটে বছরে গড়ে ৪০ শতাংশ রিটার্ন নিশ্চিত করে ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের একজন গুরু হিসেবে নিজের আসন পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো, মাত্র দুটি সহজ সূত্র ব্যবহার করে তিনি শেয়ার বাছাই করেন, ওয়াল স্ট্রিট যেগুলোকে ‘ম্যাজিক ফর্মুলা’ নামে চেনে। কম্পিউটারাইজড ডাটাবেজে ম্যাজিক ফর্মুলার আক্ষরিক প্রয়োগও লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে। প্রি-প্রোগ্রামড ট্রেডিংয়েও অনেক প্রতিষ্ঠান এ কৌশল ব্যবহার করে সাফল্য দেখিয়েছে। এ পর্বের প্রচ্ছদ কাহিনী গ্রিনব্লাটের ম্যাজিক ফর্মুলা নিয়ে...

১৯৮০ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুল থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন নিউইয়র্কার জোয়েল গ্রিনব্লাট। ইনভেস্টমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করে যাচ্ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি নিজের হেজ ফান্ড চালু করেন। ৭ মিলিয়ন ডলারের গথাম ক্যাপিটাল ফান্ডের প্রারম্ভিক পুঁজির সিংহভাগই দিয়েছিলেন জাংক বন্ড কিং মিশেল মিলকেন। হিসাব টেনে দেখা যায়, ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ফান্ডটি গড়ে প্রতি বছর ৪০ শতাংশ রিটার্ন এনে দেয়। পারফরম্যান্সের কারণেই তারকা বিনিয়োগকারী হয়ে যান ভদ্রলোক। মধ্যবর্তী সময়েই লেখালেখি শুরু করেন। অন্তত এক ডজন বইয়ের প্রচ্ছদে তার নাম দেখা যায়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে লেকচারও দেন।

শুরুটা ছাত্রজীবনেই
বিভিন্ন সাক্ষাত্কারে জোয়েল নিজেই জানিয়েছেন, শুরু থেকেই ভ্যালু ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে নিরীক্ষাধর্মী কাজে বেশ সিরিয়াস ছিলেন তিনি। হোয়ার্টনে পড়ার সময়ই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এসঅ্যান্ডপিভুক্ত কোম্পানিগুলোর একটি সেকেন্ডারি ডাটাবেজ গড়ে তোলেন তিনি, যাতে শেয়ারদর ও মৌলভিত্তির উপাত্ত ছিল। পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে বেঞ্জামিন গ্রাহামের নেট-নেট ফর্মুলা প্রয়োগ করে তিনি দেখেন, সস্তায় শেয়ার কিনলে দীর্ঘমেয়াদে ভালো মুনাফা হয়। ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের জনক বেঞ্জামিন গ্রাহামের সূত্রটি ছিল, লিকুইডেশন ভ্যালু বা অবসায়নকালীন মূল্যের চেয়ে কমে পেলে একটি শেয়ার কিনে সেটি ধরে রাখা। প্রায় শূন্য ঝুঁকির এসব শেয়ার একসময় ভালো মুনাফা দেয়।

লিকুইডেশন ভ্যালু = সম্পদসমুদয় দায়
আরো পর্যবেক্ষণের পর জোয়েলরা দেখলেন, গ্রুপ হিসেবে এ শেয়ারগুলো মুনাফা দিলেও গ্রাহামের সূত্র থেকে পাওয়া সব সস্তা শেয়ার সেকেন্ডারি বাজারে ভালো করেনি। তখন জোয়েল সিদ্ধান্ত নিলেন, সস্তায় পেলেই সব শেয়ার কেনা যাবে না। বরং ভালো কোম্পানির শেয়ার খুঁজে বের করতে হবে। তিনি হিসাব মিলিয়ে দেখলেন, বাজারের দুর্দিনে ভালো-মন্দ সব শেয়ারের দামই কমে যায়। এর মধ্যে বেছে বেছে ভালো শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করাই চ্যালেঞ্জ। এ পর্যায়ে তিনি ওয়ারেন বাফেটের তত্ত্বে বেশ প্রভাবিত হলেন। গ্রাহাম যেখানে সবচেয়ে সস্তায় শেয়ার কেনাকে বেশি গুরুত্ব দিতেন, বাফেট সেখানে শুধু ভালো কোম্পানিগুলোকেই পোর্টফোলিওতে চান।

ঐতিহাসিক উপাত্তের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গ্রিনব্লাট সিদ্ধান্ত নেন, দুই গুরুর শিক্ষার সমন্বয় ঘটাবেন। অর্থাত্ ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম যখন কমে যাবে, তখন সেটি শনাক্ত করতে হবে। ভালো কোম্পানি বাছাইয়ের জন্য তুলনামূলক জনপ্রিয় নির্দেশকগুলোর বদলে তিনি সূত্র হিসেবে নেন রিটার্ন অন ক্যাপিটালকে (আরওসি)। অর্থাত্ একটি কোম্পানি তার মূলধনের বিপরীতে যথেষ্ট আয় করতে পারলে এটিই ভালো কোম্পানি। মোটা দাগের আর্থিক নির্দেশকগুলোর বদলে তিনি প্রতি ক্ষেত্রেই আরো সুনির্দিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করেন। সুদ ও কর হিসাব করার আগ পর্যন্ত পরিচালন মুনাফাকে কোম্পানির নিট চলতি মূলধন ও স্থায়ী সম্পদের যোগফল দিয়ে ভাগ করলেই জোয়েলের আরওসি পাওয়া যায়।

রিটার্ন অন ক্যাপিটাল = সুদ করপূর্ব পরিচালন মুনাফা/নিট চলতি মূলধন + নিট স্থায়ী সম্পদ
এ একটি সূত্রই ভালো কোম্পানি খোঁজার চেষ্টায় তাকে ৯০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে সঠিক প্রমাণ করেছে।
এদিকে ভালো কোম্পানিটির শেয়ার এখন অতিমূল্যায়িত না অবমূল্যায়িত, তা বের করার জন্য সূত্র হিসেবে গ্রিনব্লাট বেছে নেন আর্নিংস ইল্ডকে। যৌক্তিক কারণে এ কৌশলটিও ওয়াল স্ট্রিটে টানা দুই যুগ ধরে নিজের আবেদন ধরে রাখে। এখনো হয়তো তাই।

আর্নিংস ইল্ড = সুদ করপূর্ব পরিচালন মুনাফা/এন্টারপ্রাইজ ভ্যালু
এন্টারপ্রাইজ ভ্যালু = কোম্পানির বাজার মূলধন (সব সাধারণ প্রেফারেন্স শেয়ারের মোট বাজারমূল্য) + কোম্পানির মোট ঋণের বর্তমান মূল্য + মাইনরিটি ইন্টারেস্টনগদ কোম্পানির নিট বিনিয়োগ

লক্ষ্য করুন, অবমূল্যায়িত কোম্পানি খোঁজার সময় মূল্য আয় (পিই) বা প্রাইস টু বুক ভ্যালু (পিবি) রেশিওর মতো নির্দেশকগুলোকে বাদ দিয়ে তিনি আরো সুনির্দিষ্ট অনুসন্ধানে চলে গেলেন। মূল ব্যবসাটি কেমন করছে— একটি কোম্পানির নিট মুনাফার উপাত্ত থেকে তা সবসময় বোঝা যায় না। এজন্য তিনি পরিচালন মুনাফার ওপর বেশি গুরুত্ব দিলেন। এন্টারপ্রাইজ ভ্যালুকে আমলে নেয়ার অর্থ হলো, একটি কোম্পানি অধিগ্রহণে বিনিয়োগকারী যে খরচ করতে প্রস্তুত— জোয়েল গ্রিনব্লাট তার নিরিখেই হিসাব করে দেখছেন, বর্তমান বাজারদরে কোম্পানিটি অতিমূল্যায়িত না অবমূল্যায়িত।

অটোমেটেড সিস্টেমে এ দুটি সূত্র বসিয়ে সার্চ করার পর উভয় ক্ষেত্রেই বহু কোম্পানির একটি তালিকা চলে আসে। একটিতে ভালো কোম্পানির মেরিট লিস্ট, অন্যটিতে মূল ব্যবসায় ভালো করছে এমন সস্তা কোম্পানির অগ্রাধিকার তালিকা।

ভালো সস্তার র‍্যাংকিং
পরের ধাপে দুই তালিকার মধ্যে সমন্বয় করে বিনিয়োগযোগ্য কোম্পানি বাছাইয়ের পালা। এজন্য গ্রিনব্লাট তার টু ফ্যাক্টর কম্পিউটার প্রোগ্রাম সেট করলেন। উচ্চ আরওসি ও আর্নিং ইল্ডের সমন্বয়ে জন্ম নিল ম্যাজিক ফর্মুলা।
উদাহরণ হিসেবে গ্রিনব্লাট দেখিয়েছিলেন, ধরুন একটি প্রতিষ্ঠান সে সময়ে ডাটাবেজভুক্ত সাড়ে তিন হাজার কোম্পানির মধ্যে আরওসি চ্যাম্পিয়ন তালিকায় ১০ নম্বরে আছে, আর আর্নিংস ইল্ড তালিকায় ২০ নম্বরে আছে। এ কোম্পানির ম্যাজিক ফর্মুলা র্যাংকিং দাঁড়ায় ১০+২০ = ৩০।
এরপর তিনি শুধু ১ থেকে ৩০ র্যাংকিংয়ের কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

বিনিয়োগের মেয়াদ
গ্রিনব্লাট এ ৩০টি কোম্পানির শেয়ার এক বছরের জন্য ধরে রাখেন। বছর শেষে নতুন তালিকা আসে। সেকেন্ডারি বাজারে ব্যর্থ হওয়া কোম্পানিগুলোকে বছর শেষ হওয়ার আগেই পোর্টফোলিও থেকে সরিয়ে ফেলা আর মুনাফা দেয়া শেয়ারগুলোকে বর্ষপূর্তি পর্যন্ত ধরে রাখার নীতি তিনি আক্ষরিক অর্থেই পরিপালন করছিলেন। নতুন বছরে নতুন তালিকায় তার পুরনো তালিকার কিছু কোম্পানিও হয়তো জায়গা করে নেয়। নতুন পোর্টফোলিওতে তখন সেগুলো আবারো কেনা হয়।

২০০৫ সালে নিউইয়র্ক সোসাইটি অব সিকিউরিটি এনালিস্টদের এক অনুষ্ঠানে গ্রিনব্লাটকে এক বছরের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জানান, দ্বিতীয় বছরে ধরে রাখলে পরিসংখ্যানগতভাবে কৌশলটির সাফল্য কমে যায়। এর কারণ সম্ভবত ভ্যালু শেয়ারগুলো খুব লম্বা সময় অবমূল্যায়িত থাকে না। রিলেটিভ ভ্যালুয়েশনে বিষয়টি বেশি প্রযোজ্য। যত বেশি মানুষ ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টে বিশ্বাসী হবে, শেয়ার ধারণের এ চক্রটি তত ছোট করে আনতে হবে।

শেয়ার বিক্রি
‘এ বাজারে শেয়ার বিক্রি একটি শিল্পকলা, যা আমরা এখনো শিখিনি। এ কারণে আমরা ইনট্রিনজিক ভ্যালুতে শেয়ার বেচে দিই।’ শহরের সবচেয়ে বড় সিকিউরিটিজ বিশ্লেষকদের সামনে কথাটি হয়তো রসিকতা করেই বলেছিলেন গ্রিনব্লাট। হয়তো কিছুটা বিনয়ও ছিল। আবার হয়তোবা সত্যিও। কারণ এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে, যেখানে তারা বিক্রি করে দেয়ার পর ছয় মাসেই শেয়ারটির দর দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এটা শোনার পর আমাদেরই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোয়ান্ট গ্রিনব্লাট তার ফর্মুলার আক্ষরিক প্রয়োগে অবিচল। এজন্যই হয়তো গথাম ক্যাপিটালের পোর্টফোলিও প্রতি বছর ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছরে গড়ে ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

ম্যাজিক ফর্মুলার হাইপোথেটিক্যাল রিটার্ন

  • ১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে ম্যাজিক ফর্মুলার ব্যাকটেস্টেড বার্ষিক রিটার্ন ছিল ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ
  • সর্বোচ্চ মূলধনি ১ হাজার কোম্পানির ক্ষেত্রে এ রিটার্ন ২২ দশমিক ৯ শতাংশ
  • ম্যাজিক ফর্মুলা ৯৬ শতাংশ সময় বাজারের চেয়ে বেশি রিটার্ন দিয়েছে
  • সস্তায় কেনা শেয়ারের পোর্টফোলিওর ভলাটিলিটি তুলনামূলক কম ছিল

ম্যাজিক ফর্মুলার দুর্বলতা প্রসঙ্গে গ্রিনব্লাট
দীর্ঘমেয়াদি রিটার্ন আমলে নিয়ে বার্ষিক গড় ভালো দেখা গেছে মানে এই নয় যে, গ্রিনব্লাটের পোর্টফোলিও কোনো বছর ভোগেনি। সার্বিকভাবে বাজার নিম্নমুখী থাকলে কোনো কোনো বছর তাকে হতাশও হতে হয়। তবে প্রতিকূল সময়ও দেখা গেছে, কম দামে গ্রিনব্লাটের কেনা ভালো শেয়ারগুলোর প্রতি বাজারের একটি আকর্ষণ রয়ে গেছে। ভ্যালু বিষয়টিই এমন।

তার পরও খারাপ সময় যায়। তখন হয়তো ঠিক উল্টো দর্শনের একদল ওয়ালস্ট্রিটার মুনাফা গুনছে। গ্রিনব্লাটের বক্তব্য, ম্যাজিক ফর্মুলা সব সময় একই হারে সাফল্য দেখাবে, এমনটি আমিও আশা করি না। তাহলে সবাই এ ফর্মুলা ব্যবহার করত। আর সবাই এ ফর্মুলা ব্যবহার করলে কৌশলটির কার্যকারিতা আরো কমবে। বাজার তখন মুনাফা করার নতুন কোনো কৌশল নিয়ে মাতবে। তবে ভ্যালু ভ্যালুই থেকে যাবে।


সৌজন্যেঃ হাসান শাহারিয়ার